শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

প্রশাসনিক অনুমোদনের পরও ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু হয়নি 

বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রশাসনিক অনুমোদনের পরও ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু হয়নি 

নেত্রকোনার বারহাট্টার প্রায় দুই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গতবছর এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নিত হয়। পরবর্তীতে ৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদনও পায়। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় চালু হয়নি ৫০ শয্যার চিকিৎসা সেবা। 

তাই কাগজে কলমে ৫০ শয্যা হলেও এটি চলছে ৩১ শয্যার জনবল ও চিকিৎসক দিয়ে। ফলে আউটডোরে প্রতিদিন তিন থেকে চার শতাধিক রোগীর সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সমপ্রতি গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক রোগী। তাই কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল দ্রুত নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন ১৩ জন। তার মধ্যে দুইজন ডাক্তার ডেপুটেশনে আছেন অন্য হাসপাতালে। নার্স  কর্মরত আছেন ২৫ জন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির অনেক পদই খালি পরে আছে বহুদিন ধরে।

বারহাট্টা উপজেলার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কমপ্লেক্সটিকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে সরকার। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবলের অভাবে সেই লক্ষ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠী।

ওটির জন্য অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, এক্স-রে, ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাম, এসি রয়েছে। ৫০টি বেড ও সমানসংখ্যক ডাইড চালু আছে। ৫০ শয্যা কমপ্লেক্সে পরিপূর্ণ থাকলে প্রসূতির সিজারের জন্য নেত্রকোনা আর ময়মনসিংহে যেতে হতো না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই নিয়মিত প্রসূতিদের সিজার করা যেত।

কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকট ও রোগ নির্ণয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। নারী ও শিশু ওয়ার্ডের অবস্থা আরও নাজুক। কমপ্লেক্স থেকে কিছু ওষুধ পাওয়া গেলেও বাকি সব বাইরে থেকে কিনতে হয়। রোগীর সংখ্যা বেশি থাকলেও বেড সংকট থাকার কারণে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান  বলেন, হাসপাতালে দৈনিক প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। জনবলের অভাবে ৫০ শয্যার নতুন বিল্ডিংয়ের প্রশাসনিক অনুমোদনের পরও আমরা সেখানে যেতে পারছি না। কাগজে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও এ কমপ্লেক্স চলছে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে। 

অল্প জনবল দিয়েই আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করি। তবে হিমশিম খেতে হয়। রোগীদের চাপ সামলাতে সব শূন্য পদে চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। শিগগিরই নিয়োগ হলে রোগীদের উন্নত সেবা দেয়া সম্ভব হবে।

টিএইচ